ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
ড্রাইভিং লাইসেন্স করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা সড়ক নিরাপত্তা এবং আইন
মেনে চলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে নির্দিষ্ট নিয়ম ও
শর্তাবলী পূরণ করে আবেদন করতে হয়।
আবেদনকারীদের সাধারণত তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বয়স এবং ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ বাধ্যতামূলক।
সঠিক নিয়ম মেনে লাইসেন্স প্রাপ্তি একজন সচেতন ও দায়িত্বশীল চালকের পরিচায়ক।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন
ড্রাইভিং লাইসেন্স করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা প্রতিটি চালকের
জন্য বাধ্যতামূলক। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন এবং নিজের ও
অন্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। প্রথমত, লাইসেন্সের জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা পূরণ
করতে হবে। সাধারণত, প্রাইভেট গাড়ি চালানোর জন্য ১৮ বছর এবং পেশাদার ড্রাইভিংয়ের
জন্য ২০ বছর বয়স প্রয়োজন। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সম্পর্কে জানুন যাতে আপনি সকল
প্রয়োজনীয় শর্তাবলী মেনে চলতে পারেন।
লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হয়। এই ফর্মটি
সংশ্লিষ্ট সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ অফিস থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সম্পর্কে জানুন যাতে আবেদন প্রক্রিয়ার কোনো ধাপ বাদ না
পড়ে। আবেদন ফর্মের সাথে নির্দিষ্ট নথিপত্র যেমন জন্ম সনদ, পরিচয় পত্র এবং
ঠিকানার প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে
জানুন, যাতে নথি প্রস্তুতিতে কোন ভুল না হয়।
আরো পড়ুনঃটিউমার হলে কি ব্যাথা করে
আবেদন জমা দেওয়ার পরে, প্রথমে একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষায়
সাধারণত ট্রাফিক আইন, সড়ক চিহ্ন এবং সড়ক নিরাপত্তার উপর প্রশ্ন থাকে। ড্রাইভিং
লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন এবং পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময়
নিন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, একটি ব্যবহারিক ড্রাইভিং পরীক্ষা
নেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় গাড়ি চালানোর দক্ষতা ও নিয়মিত ব্যবহৃত ড্রাইভিং কৌশল
যাচাই করা হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন এবং ড্রাইভিং
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন, যাতে পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা যায়।
লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হলে, প্রাথমিকভাবে একটি লার্নার বা
শিক্ষানবীশ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এই লাইসেন্স সাধারণত ছয় মাসের জন্য বৈধ হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন যাতে আপনি এই সময়ে পর্যাপ্ত
অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। শিক্ষানবীশ লাইসেন্সের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে,
পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পুনরায় আবেদন করতে হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করার
নিয়ম সম্পর্কে জানুন এবং সময় মতো পূর্ণ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করুন।
পরিশেষে, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির পর নিয়মিত লাইসেন্স নবায়ন করা জরুরি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন এবং লাইসেন্স নবায়নের জন্য
প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করুন। নবায়নের জন্য নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয় এবং
কখনও কখনও পুনরায় পরীক্ষা দিতে হতে পারে। সঠিকভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
সম্পর্কে জানুন এবং একটি বৈধ ও আপডেটেড লাইসেন্স বজায় রাখুন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন এবং সড়কে নিরাপদে চলাচল নিশ্চিত
করুন। লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং নবায়নের প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে অনুসরণ করলে, আপনি
একটি নিরাপদ ও আইন মেনে চলা চালক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন। তাই,
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে জানুন এবং সড়কে সচেতন ও দায়িত্বশীল চালক
হিসেবে অবদান রাখুন।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
বাংলাদেশে প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে অনেক সরকারি সেবা এখন মোবাইলের মাধ্যমে
সহজে পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা হলো মোবাইল নাম্বার দিয়ে
ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার সুবিধা। বর্তমান সময়ে, ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই করা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে যেহেতু অনেকে ভুয়া লাইসেন্স ব্যবহার
করে থাকে। এই পরিস্থিতিতে, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার
সুবিধা মানুষকে তাদের লাইসেন্সের সঠিকতা যাচাই করার সুযোগ দিচ্ছে।
এই সেবাটি ব্যবহার করতে হলে, প্রথমে আপনার মোবাইল ফোন থেকে নির্দিষ্ট একটি কোড
ডায়াল করতে হবে অথবা একটি এসএমএস পাঠাতে হবে। অনেক সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স
হারিয়ে গেলে বা নম্বর ভুলে গেলে, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
করার মাধ্যমে সহজেই লাইসেন্সের তথ্য জানা যায়। এটি সময় সাশ্রয়ী এবং সহজ উপায়,
যেখানে লাইসেন্স অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার সুবিধা সকলের জন্য উন্মুক্ত এবং এটি ব্যবহার করতে কোনও
ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয় না, শুধু মোবাইলের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করা
যায়।
এই সেবার মাধ্যমে আপনার লাইসেন্সের স্ট্যাটাস, অর্থাৎ এটি বৈধ কিনা, মেয়াদ
উত্তীর্ণ হয়েছে কিনা, বা কোনও জরিমানা বকেয়া আছে কিনা তা জানা সম্ভব। এছাড়াও,
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার মাধ্যমে নতুন লাইসেন্সের জন্য
আবেদন করলে তার প্রসেসিং স্ট্যাটাসও জানা যায়।তবে, এই সেবাটি ব্যবহার করতে গেলে
অবশ্যই সঠিক মোবাইল নাম্বার এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের নম্বর দিতে হবে। ভুল তথ্য
দিলে, সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
করার মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে একটি সহজ উপায়ে তাদের লাইসেন্স যাচাই করার সুযোগ করে
দেওয়া হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও এখন মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং
লাইসেন্স চেক করার সুবিধা ব্যবহার করে চালকদের নিয়োগের আগে তাদের লাইসেন্সের
সঠিকতা যাচাই করে নিচ্ছে। এটি সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করছে।বলা যায় যে, মোবাইল নাম্বার দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার
সেবা একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং উপকারী উদ্যোগ, যা প্রযুক্তির ব্যবহারকে
জনগণের জীবনে আরও কার্যকরী এবং সহজ করে তুলেছে।
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করবেন
অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করবেন এ প্রশ্নের উত্তর জানাটা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যারা তাদের লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা বা বৈধতা নিশ্চিত
করতে চান। বর্তমানে বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে বেশিরভাগ সেবা
অনলাইনে সহজলভ্য হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করার প্রক্রিয়াও এর ব্যতিক্রম
নয়। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করবেন তা জানার জন্য আপনাকে কয়েকটি
ধাপ অনুসরণ করতে হবে।আপনাকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BRTA) এর ওয়েবসাইটে
যেতে হবে। ওয়েবসাইটটি হলো www.brta.gov.bd। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর,
হোমপেজে ড্রাইভিং লাইসেন্স নামক একটি মেনু থাকবে। সেখানে ক্লিক করার পর, ড্রপডাউন
মেনু থেকে লাইসেন্স যাচাই বা License Verification অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। এই
ধাপে আপনার কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রস্তুত
থাকতে হবে, কারণ এ দুটি তথ্য দিয়েই আপনি অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে
করবেন তা শিখতে পারবেন।
আপনি যখন আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর প্রবেশ
করাবেন, তখন একটি ভেরিফিকেশন কোড আপনার মোবাইল নম্বরে বা ইমেইলে পাঠানো হবে। সেই
কোডটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশ করিয়ে যাচাইয়ের জন্য সাবমিট করুন। কয়েক
সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সব তথ্য স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে। এটি
নিশ্চিত করে যে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করবেন তা আপনি সফলভাবে
সম্পন্ন করেছেন।এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মাধ্যমে আপনি আপনার লাইসেন্সের বৈধতা,
মেয়াদ এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য দেখতে পাবেন। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক
কিভাবে করবেন তা জানার ফলে আপনি যে কোন সময় আপনার লাইসেন্সের অবস্থা যাচাই করতে
পারবেন, যা আপনাকে সড়কে আইন মেনে চলতে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুনঃBinance account এর সুবিধা
যদি আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে যায়, তখন নতুন লাইসেন্স পাওয়ার আগে পুরনো
লাইসেন্সের অবস্থা যাচাই করতে এই পদ্ধতি কাজে লাগতে পারে। একইসাথে, যদি
লাইসেন্সের কোন তথ্য ভুল থাকে, তবে সেটাও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত চেক করতে
পারবেন। অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করবেন তা জানার ফলে আপনি নিজেই
নিজেকে আত্মনির্ভর করতে পারবেন এবং যে কোনো ধরনের ভুল তথ্যের সংশোধনের প্রয়োজন
হলে তা দ্রুত সংশোধন করতে পারবেন।সংক্ষেপে বলতে গেলে, অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স
চেক কিভাবে করবেন তা জানার মাধ্যমে আপনি সময়, অর্থ এবং পরিশ্রম সাশ্রয় করতে
পারবেন। এটি শুধুমাত্র একটি সহজ পদ্ধতি নয়, বরং একটি নিরাপদ উপায়ও যা আপনাকে
আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতা ও বৈধতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। সুতরাং,
এখন থেকেই অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক কিভাবে করবেন তা শিখে নিন এবং যেকোনো
সমস্যার সমাধান নিজেই করে নিন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে ভালোভাবে জানা জরুরি, কারণ
এই কাগজপত্র ছাড়া লাইসেন্স প্রাপ্তি অসম্ভব। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ
লাগে, সেটি প্রার্থীদের জানতে হবে। প্রথমেই, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদের
প্রয়োজন হয়, যা আপনার নাগরিকত্ব প্রমাণ করবে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই
কাগজের মাধ্যমেই আপনার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ
লাগে, তা আরও বিশদভাবে জানার জন্য দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজটি হলো আবেদনকারীর
সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। সাধারণত তিন বা চার কপি ছবি প্রয়োজন হয়, যা
আবেদনপত্রে সংযুক্ত করা হয়। এই ছবিগুলো আপনার লাইসেন্সে ব্যবহার করা হবে, তাই
এগুলো আপডেটেড ও স্পষ্ট হওয়া উচিত।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে তা জানার ক্ষেত্রে তৃতীয় কাগজটি হলো
আপনার শিক্ষা সনদ। সাধারণত এসএসসি বা সমমানের সনদ জমা দিতে হয়। এর মাধ্যমে
প্রমাণ হয় যে আপনি নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেছেন, যা ড্রাইভিং
লাইসেন্স পেতে বাধ্যতামূলক।যদি আপনার পাসপোর্ট থাকে তবে সেটির ফটোকপি জমা দিতে
হয়। এটি বিশেষত প্রয়োজন হয় আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য। পাসপোর্টে
আপনার নাগরিকত্ব এবং অন্যান্য বিবরণ রয়েছে যা লাইসেন্স প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ
করে তোলে।ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে তা জানার পর, স্বাস্থ্য সনদ জমা
দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রমাণস্বরূপ,
যা নিশ্চিত করে যে আপনি গাড়ি চালানোর জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম।ড্রাইভিং
লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে, সেই তালিকায় পরবর্তী আইটেমটি হলো আপনার ঠিকানা
প্রমাণের জন্য বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, বা ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি।
এর মাধ্যমে আপনার বর্তমান ঠিকানা যাচাই করা হয়, যা ড্রাইভিং লাইসেন্সে উল্লেখ
করা হবে।সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে পূরণ করে এবং নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদনপত্র
সাবমিট করতে হয়। এরপর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই হয়
এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হয়। পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হলে, আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে চূড়ান্ত আবেদনপত্র জমা দিতে
হয়।সবশেষে, ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজ লাগে তা পুরোপুরি নিশ্চিত করে,
সঠিকভাবে সমস্ত ধাপ অতিক্রম করলে, কিছু দিনের মধ্যে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত
ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাবেন। এই লাইসেন্স পেয়ে আপনি আইনত গাড়ি চালানোর অধিকার
অর্জন করবেন এবং সড়কে নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন।
কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা সময়মতো সম্পন্ন
না করলে আইনত সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলে, তা
নবায়ন না করলে আপনি বৈধভাবে গাড়ি চালাতে পারবেন না। সুতরাং, কিভাবে ড্রাইভিং
লাইসেন্স নবায়ন করতে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা থাকা অপরিহার্য।প্রথমেই জানতে
হবে, আপনার লাইসেন্সের মেয়াদ কতদিনের মধ্যে শেষ হচ্ছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস
আগেই আপনি নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে
হয় তার প্রথম ধাপ হল নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করা, যা আপনি আপনার জেলা বা সংশ্লিষ্ট
ড্রাইভিং লাইসেন্স অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে
হবে, যাতে কোন ভুল তথ্য না থাকে।
এরপর আপনাকে পুরানো ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, এবং দুই
কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদও
জমা দিতে হতে পারে, বিশেষত যদি আপনি বয়স্ক হন বা কোন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় যে আপনি গাড়ি চালানোর জন্য
শারীরিকভাবে উপযুক্ত কিনা।কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে হয় এ বিষয়ে আরও
একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল ফি পরিশোধ করা। নির্দিষ্ট ব্যাংকে বা অনলাইনের মাধ্যমে
ফি জমা দিতে হবে। ফি নির্ধারণ করা হয় লাইসেন্সের ধরন ও মেয়াদের ভিত্তিতে। আবেদন
জমা দেওয়ার পর, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে এবং
প্রয়োজনীয় নথিপত্র পরীক্ষা করবে।
নবায়নের জন্য আবেদন করার পর সাধারণত কিছুদিনের মধ্যে আপনাকে নতুন লাইসেন্স দেওয়া
হবে। নবায়িত লাইসেন্স পেতে কতদিন সময় লাগবে তা নির্ভর করে আপনার এলাকার ড্রাইভিং
লাইসেন্স অফিসের কাজের ধরন এবং প্রচলিত সময়সীমার ওপর। অনেক ক্ষেত্রে, লাইসেন্স
নবায়ন করতে কিছুদিন সময় লাগতে পারে, তাই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে যথাসময়ে আবেদন
করা উচিত।কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে হয় তা জানার পাশাপাশি, আপনাকে
নিয়মিত আপনার লাইসেন্সের মেয়াদ চেক করতে হবে এবং প্রয়োজন হলে নবায়নের জন্য
সময়মতো আবেদন করতে হবে। নবায়িত লাইসেন্স হাতে পেলে, সেটি নিয়ে সড়কে চলাফেরা
করতে পারবেন এবং আইনত কোনও সমস্যায় পড়বেন না।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে
ড্রাইভিং লাইসেন্স করা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, এবং এর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে
একজন আবেদনকারীকে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হয়। প্রক্রিয়াটি শুরু হয় প্রাথমিক
আবেদন দিয়ে, যেখানে আবেদনকারীদের তাদের ন্যূনতম বয়স ও অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ
করতে হয়। প্রথম ধাপে, আবেদনকারীদের সাধারণত একটি লার্নার্স পারমিট বা শিক্ষানবিস
লাইসেন্স নিতে হয়, যা প্রায় ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। এই পারমিট
প্রাপ্তির পর আবেদনকারীকে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে হয়,
যা সাধারণত ৩০ দিন থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
প্রশিক্ষণ শেষে, আবেদনকারীকে একটি লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়, যেখানে তাত্ত্বিক
প্রশ্নের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, ব্যবহারিক
পরীক্ষার দিন নির্ধারণ করা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়, পরীক্ষকের সামনে গাড়ি
চালানোর দক্ষতা প্রদর্শন করতে হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে, তা
অনেকটা নির্ভর করে এই ধাপগুলোর উপর। ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, সাধারণত ৭
থেকে ১৪ দিনের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। তবে, এই সময়সীমা ক্ষেত্র
বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। যদি কোন জটিলতা থাকে, যেমন অতিরিক্ত কাগজপত্র বা
পুনঃপরীক্ষা প্রয়োজন হয়, তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে, তা আরও
বেশি সময় নিতে পারে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কতদিন সময় লাগে, তা নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর,
যেমন আবেদনকারীর যোগ্যতা, ডকুমেন্টেশন সঠিকতা, এবং স্থানীয় পরিবহন বিভাগের কাজের
দক্ষতা। সাধারণত, পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় ৪৫ দিন থেকে ৬০ দিন
পর্যন্ত সময় লাগে। তবে কিছু ক্ষেত্রে, যেখানে কাজের চাপ বেশি বা অন্যান্য
প্রশাসনিক কারণে দেরি হয়, তখন এটি ৩ মাস পর্যন্ত সময় নিতে পারে। সার্বিকভাবে,
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হলেও, এটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বপূর্ণ কাজ। যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান, তাদের এই
সময়সীমার ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত,
যাতে কোন প্রকার বিলম্ব বা সমস্যা না হয়।
লেখকের মন্তব্য
ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়মগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যথাযথভাবে সাজানো
হয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা
প্রয়োজন। নিয়মগুলোর মাধ্যমে শুধু চালকের দক্ষতা যাচাই করা হয় না, বরং তাদের
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সচেতন হওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়। যে
প্রক্রিয়ায় লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন চালকের সামগ্রিক যোগ্যতা
যাচাই করা হয়, তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং সময়োপযোগী। এই নিয়মগুলো না থাকলে
সড়কে অদক্ষ ও অসচেতন চালকদের সংখ্যা বাড়ত, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বহুগুণে বৃদ্ধি
করত।
এ.আর.আরিফিন নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url