Ads

দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশের প্রধান অভিযানগুলির একটি, যা দুর্নীতি ও অপহরণ নিয়ে মোটামুটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দুর্নীতি ও অপহরণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস যাতে মানুষের নিরাপত্তা ও বিশ্বাস সুরক্ষিত থাকে। দুদক এসব অপরাধগুলির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ও শাস্তি প্রয়োজন মূলক কার্যক্রম চালায়।


দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশের প্রধান অভিযানগুলির একটি, যা দুর্নীতি ও অপহরণ নিয়ে মোটামুটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দুর্নীতি ও অপহরণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস যাতে মানুষের নিরাপত্তা ও বিশ্বাস সুরক্ষিত থাকে। দুদক এসব অপরাধগুলির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ও শাস্তি প্রয়োজন মূলক কার্যক্রম চালায়।
দুর্নীতি দমন কমিশন এর কাজ কি?
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হল একটি স্বাধীন সংস্থা, যার মূল কাজ হল দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং দমন। 

দুদকএর প্রধান কার্যাবলী হলো:

দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত ও অনুসন্ধান করা: যে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, দুদক তা তদন্ত করে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা: দুদক সাধারণ মানুষের মধ্যে দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে, যেমন সেমিনার, কর্মশালা, প্রচারণা ইত্যাদি।
আইন প্রণয়ন ও পরামর্শ প্রদান: দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন এবং সংশোধন করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ প্রদান করে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা করা: বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলিতভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম চালায় এবং পরামর্শ প্রদান করে।
সম্পত্তি ও অর্থের অনৈতিক প্রাপ্তি অনুসন্ধান করা: যারা বেআইনিভাবে সম্পত্তি ও অর্থ উপার্জন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং প্রাপ্ত সম্পত্তি ও অর্থ বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের লক্ষ্য হলো একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং নৈতিক সমাজ গঠন করা যেখানে দুর্নীতি কমিয়ে আনা যায় এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা যায়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রথম নারী কমিশনার কে?

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রথম নারী কমিশনার হলেন ফারজানা হোসেন। তিনি ২০২২ সালে দুদকের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান, যা বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর নিয়োগ নারীদের ক্ষমতায়নে একটি বড় পদক্ষেপ এবং প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে গণ্য হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগ ফরম
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ ফরম ব্যবহার করে যে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেন। এই ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া বেশ সহজ এবং সরল। নিম্নে অভিযোগ ফরম সম্পর্কিত তথ্য এবং কীভাবে এটি পূরণ করতে হয় তার নির্দেশনা দেওয়া হল:

অভিযোগ ফরম সংগ্রহ

1. অনলাইন: দুদকের ওয়েবসাইট (www.acc.org.bd) থেকে অভিযোগ ফরম ডাউনলোড করতে পারেন।
2. অফলাইন: দুদকের প্রধান কার্যালয় বা আঞ্চলিক অফিস থেকে সরাসরি অভিযোগ ফরম সংগ্রহ করা যায়।

অভিযোগ ফরম পূরণ

ফরম পূরণের জন্য নিম্নলিখিত তথ্যসমূহ প্রয়োজন:
1. অভিযোগকারীর তথ্য:
- নাম
- ঠিকানা
- ফোন নম্বর বা ইমেইল (যদি থাকে)
2. অভিযুক্তের তথ্য:
- নাম
- পদবী/পদ
- কর্মস্থল বা ঠিকানা
3. অভিযোগের বিবরণ:
- ঘটনার তারিখ ও সময়
- ঘটনাস্থল
- অভিযোগের ধরণ (ঘুষ, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ইত্যাদি)
- বিস্তারিত বিবরণ ও প্রমাণাদি (যদি থাকে)

অভিযোগ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া

1. অনলাইনে জমা: দুদকের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি অভিযোগ জমা দেওয়া যায়।
2. ডাকযোগে জমা: পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণকৃত ফরমটি নির্ধারিত ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠানো যায়।
3. সরাসরি জমা: দুদকের যে কোনো অফিসে সরাসরি অভিযোগ ফরম জমা দেওয়া যায়।
অভিযোগের গোপনীয়তা
দুদক অভিযোগকারীর পরিচয় এবং অভিযোগের তথ্য গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। তাই, যে কেউ নির্ভয়ে দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেন।

দুদকের ঠিকানা

দুর্নীতি দমন কমিশন
সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০
বাংলাদেশ
এই পদ্ধতির মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারেন এবং একটি সুশাসিত সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন ফোন নাম্বার

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য আপনি নিম্নলিখিত ফোন নাম্বার ব্যবহার করতে পারেন:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ফোন নাম্বার
- **হটলাইন**: ১০৬
এই হটলাইনে ফোন করে আপনি দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেন এবং বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ পেতে পারেন। দুদকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.acc.org.bd) এও আপনি আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন ঠিকানা

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা হলো:
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
১, সেগুনবাগিচা,
ঢাকা - ১০০০,
বাংলাদেশ.
আপনি এই ঠিকানায় সরাসরি গিয়ে অভিযোগ জমা দিতে পারেন বা যে কোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া, তাদের ওয়েবসাইট (www.acc.org.bd) এ গিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মকর্তা

দুর্নীতি দমন কমিশনে বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত থাকেন। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের সাধারণ কর্মকর্তা থেকে লেখাপড়ার, অনুসন্ধানের, প্রতিবেদন তৈরির, আইনি কার্যক্রমে সাহায্য প্রদানের মধ্যে বিশেষজ্ঞতা বিকশনের সাথে সাথে এই কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অধিক বৃদ্ধি পায়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুদকের বিভিন্ন অংশে যুক্ত হয়ে কাজ করে, যেমন অভিযোগ নিবন্ধন, অভিযোগ তদন্ত, আইনী প্রস্তুতি ইত্যাদি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তারা এই কাজগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা ও নিবেশন করে সামাজিক সম্পর্ক ও ন্যায্যতা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন প্রতিদিন প্রতিবাদ এবং ব্যবস্থাপনা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান কে
দুর্নীতি দমন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন হামিদ খান। তিনি এই পদে ১৬ মে ২০২১ সালে নিযুক্ত হন।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এ.আর.আরিফিন নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১